জেলা প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারসহ বিভিন্ন দাবিতে আয়োজিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ-যুবলীগের বাধার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বহনকারী অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর ও বেশ কয়েকজন আহতের দাবি করেছে দলটি।
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, ‘সমাবেশে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীরা চট্টগ্রাম যাচ্ছেন। যাওয়ার পথে সকাল থেকে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে আমাদের গাড়িবহরে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করছে। আমাদের অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, হামলায় বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘গাড়ি থামাচ্ছে মূলত পুলিশ। পুলিশ গাড়ি থামাচ্ছে, ছাত্রলীগ হামলা করতেছে।’
ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আকবর বলেন, ‘নিজামপুর কলেজের সামনে আমার গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে ৭টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। এতে আমার অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’
তবে এসব বিষয় অস্বীকার করেছে পুলিশ। মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘আমি ইউএনও মহোদয়সহ রাস্তায় আছি। হামলার অভিযোগ মিথ্যা। তারা (বিএনপির লোকজন) সকালে শহরে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের বহরে গাড়ি তুলে দিয়ে একজনকে গুরুতর আহত করেছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ছাত্রলীগের বহরে গাড়ি তুলে দেয়ার ঘটনায় একটি গাড়ি আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন মামুন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘সমাবেশে আসার পথে বাধার বা হামলার বিষয়টি এখনো আমরা জানি না। আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতেছি। তবে মীরসরাইয়ের দিকে রাতে কয়েকজনকে আটক করেছে, শহরেও অনেকের বাসায় পুলিশ গেছে। অনেককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, ‘তারা আমাদের কাছে বলেছে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে, আমরাও তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের শর্তে অনুমতি দিয়েছি।’